More cooperation needed to build sustainable agri-food system
Source:
ajkerdarpon.comদেশে ৩০ শতাংশ খাদ্য অপচয় হয়: কৃষিমন্ত্রীপ্রকাশিত:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণবঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বোনম্যারো প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রথমবারের মতো এনামুল হক নামে এক ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে সফলভাবে বোনম্যারো
প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের হাসপাতালগুলোতে যেখানে এই বোনম্যারো প্রতিস্থাপনে খরচ হয়
২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা, সেখানে বিএসএমএমইউয়ে খরচ হবে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড
স্টেম সেল থেরাপি সেন্টারে এ উপলক্ষ্যে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি
হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের
পুরো প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।জানা গেছে,
নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের বাসিন্দা ৬৩ বছরের এনামুল হক গত চার মাস আগে নানা শারীরিক
জটিলতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলোজি বিভাগ নিশ্চিত করে, এনামুল হক মাল্টিপোল মায়েলোমা
বা জটিল রক্তের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। এরপর হেমাটোলোজি
বিভাগে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের
সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তাকে অটোলোগ্যাস
বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।এরপর গত ১৭
জানুয়ারি রোগীর শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করা হয়। ওইদিনই রোগীর কন্ডিশনিং থেরাপি
দেওয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.
সালাউদ্দিন শাহ রোগীর শরীরে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করেন। ৩০ জানুয়ারি রোগীর নিউটোফিল
রিকভারি হয়। ট্রান্সপ্লান্টেশনের ১৮ দিন পরে রোগীর শরীরে কোনো ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি।
যা চিকিৎসকরা স্বাভাবিক ও ইতিবাচক এবং বোনম্যারো সফলভাবে প্রয়োগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে
জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে ক্যান্সার রোগীদের
চিকিৎসার জন্য স্থায়ীভাবে গত ১ জানুয়ারি সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারা ট্রান্সপ্লান্টেশন
অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টার স্থাপন করা হয়। এই সেন্টারে প্রথমবারের মতো সফল বোনম্যারো
ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়।এসময় অধ্যাপক
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার
ফর ব্লাড, বোনম্যারা ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টারে প্রথম রোগী
হিসেবে মাত্র ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ভেদে এ ট্রান্সপ্লান্টেশনের
খরচ ৬ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। অন্যান্য দেশে এই ধরনের বোনম্যারো
ট্রান্সপ্লান্টেশনের খরচ হাসপাতাল ভেদে ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।তিনি বলেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের রোগীদের যাতে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা
করাতে না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই সেন্টারে
মাসে ৩ থেকে ৫টা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করা সম্ভব। আপাতত যে অবকাঠামো রয়েছে তাতে
প্রতি মাসে একটি করে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব।সংবাদ সম্মেলনে
হেমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন শাহ এই ট্রান্সপ্লান্টেশনের
কারিগড়ি বিষয় উপস্থাপন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ
হাফিজুর রহমান, হেমাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজসহ বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসক,
মেডিক্যাল অফিসার, রেসিডেন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।