A2Is e-Quality Centre for Inclusive Innovation’ launched by Momen in New York
Source:
Banik Bartaভিসা নীতি প্রয়োগের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যা বললেন ম্যাথু মিলারমার্কিন নতুন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে
বাংলাদেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সরকারের উচ্চস্তর থেকে প্রতিক্রিয়া
এসেছে। যার জবাবে নিজেদের পুনর্ব্যক্ত করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। এ প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনেই ভিসা নীতির
প্রয়োগ।ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সোমবার
(২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং চলাকালে এ মুখপাত্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন।এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন
প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া
জানিয়ে বলেছেন যে বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালে যেকোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে, যারা এই
ধরনের উদ্যোগ নেবে তাদের ওপরও বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে যে
নির্বাচনের আগে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তাই এটা কি সত্য, এবং আপনার প্রতিক্রিয়া
কী?এমন প্রশ্নে ম্যাথু মিলার পুরোনো কথাই ব্যক্ত
করে বলেন, মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিংকেন) নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন।
এর উদ্দেশ্য ছিল না যে বাংলাদেশে একটি নির্বাচনে পক্ষ নেয়া, বরং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ
জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থনকে করা।আরো বলেন, আমি বলব যে, শুক্রবার (২২
সেপ্টেম্বর) যখন আমরা নতুন ভিসা বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি আইন
প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী উভয় দলের সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত।সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা
জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। ৭৮ বছর বয়সী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘চিকিৎসার অবস্থা খুবই গুরুতর’ উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, সাবেক
প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?এ প্রশ্নে বিস্তারিত জবাবে না গিয়ে
এককথায় বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’এদিকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মার্কিন
রাষ্ট্রদূর পিটার হাস জানান, নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা অন্তর্ভুক্ত
হবেন। এ নিয়ে মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয়, এ মন্তব্য ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি
করেছে। বলা হচ্ছে, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত করার পরিপন্থী।
‘আপনি কি মনে করেন না যে মিডিয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা
ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?’এ বিষয়েও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
এ মুখপাত্রের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট নয়। ম্যাথু মিলার বলেন, নির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তির নাম
আমরা ঘোষণা করিনি। আমরা ভিসা রেকর্ডগোপনীয়। তবে এটি স্পষ্ট যে আইন প্রয়োগকারী সদস্য,
ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী দলের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।