Lead poisoning: 35.5m children affected in Bangladesh
Source:
Kaler Kanthaসিসাদূষণ প্রতিরোধে গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তা | 1196784 | কালের কণ্ঠপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সিসাদূষণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায়ই অবৈধ ব্যাটারি উৎপাদন এবং পুনর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের আয়োজনে ‘লেড পয়জনিং ইন বাংলাদেশ : রিসার্চ এভিডেন্স ফর আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, “শুধু আইন প্রয়োগই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারে না বরং আমাদের ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
জনগণের জানা উচিত যে ‘সিসা’ মানবদেহের জন্য একটি নীরব ঘাতক এবং প্রায় সমস্ত শরীরের সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সিসার স্নায়বিক বিষাক্ততা ছোট বাচ্চাদের বিকাশমান দেহ ও মস্তিষ্কের স্থায়ী এবং বিধ্বংসী ক্ষতি করে। ”তিনি আরো বলেন, সিসাদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সুধীসমাজ, এনজিওদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি উদ্যোগের ফলে যানবাহনে সিসামুক্ত জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকন্তু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এ শিল্প নিঃসরণের জন্য সিসা নির্গমন মানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। মোট বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের প্রায় ৮৫ শতাংশই সিসাই সিসা-এসিড ব্যাটারি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। পেইন্ট ও মসলায় সিসাও আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। ’মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকার প্রথমে ২০০৬ সালে এবং আবার ২০২১ সালে এসআরও জারি করে। এসআরওতে সিসা-এসিড ব্যাটারির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ, পরিবেশগতভাবে নিরাপদ রিসাইক্লিং, ব্যাটারি ব্রেকার, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, আমদানিকারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং রিপোর্টিং সিস্টেমের ওপর জোর দেওয়া হয়। ’স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. শামস এল আরিফীন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।