Source:
u71news.comশরীরে সিসা বয়ে বেড়াচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি শিশু, উচ্চঝুঁকিতে ৬৫ শতাংশ ২০২২ অক্টোবর ২৫ ১৯:১৫:২৬ স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সাড়ে তিন কোটির বেশি শিশু শরীরে ক্ষতিকারক সিসা বয়ে বেড়াচ্ছে। দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের শতভাগের শরীরে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে সিসার নেতিবাচক প্রভাব বেশি। এর প্রভাবে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা কমে যায়। মনোযোগের ঘাটতি তৈরি করে এবং লেখাপড়ায় তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই যাদের শরীরে সিসার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি মিলছে, বড় হয়ে তাদের আগ্রাসী হয়ে ওঠার শঙ্কাও প্রবল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।ইউনিসেফের উদ্যোগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদারময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) সম্প্রতি এ গবেষণা পরিচালনা করে।মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনের এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের চার জেলায় শিশুদের রক্তে সিসার সক্রিয় উপস্থিতি মিলেছে। রক্তে সিসা থাকা শিশুদের মধ্যে ৬৫ শতাংশের রক্তে এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত, যারা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) নির্ধারিত মাত্রা ৩ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রাম। এর চেয়ে কারও শরীরে সিসার উপস্থিতি বেশি থাকলে তা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত।সেমিনারে আইইডিসিআর-এর গবেষক নওরোজ আফরিন গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।তিনি বলেন, টাঙ্গাইল, খুলনা, সিলেট, পটুয়াখালী- এ চার জেলার শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। পরীক্ষার আওতায় আসা ৯৮০ শিশুর সবার রক্তে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। এরমধ্যে ৬৫ শতাংশ শিশুরই রক্তে সিসার মাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি নির্ধারিত মাত্রা ৩ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রামের বেশি। দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের শতভাগের শরীরেই সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।অন্যদিকে আইসিডিডিআর,বির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় তারা ৫০০ শিশুর রক্ত পরীক্ষা করেছে। তাদের সবার শরীরেই সিসার উপস্থিতি মিলেছে।গবেষকরা বলছেন, সিসার প্রভাবে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা কমে যায়। মনোযোগের ঘাটতি তৈরি করে এবং লেখাপড়ায় তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকে যাদের শরীরে সিসার উপস্থিতি, তাদের অনেকে ভবিষ্যতে আগ্রাসী হয়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে।৯৬ পণ্যে মিললো সিসার উপস্থিতিএদিকে, গবেষণায় বাজারের বিভিন্ন পণ্যও পরীক্ষা করা হয়। ৩৬৭টি পণ্যে পরীক্ষা চালিয়ে ৯৬টিতে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। চারটি শহরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খেলনা, রং, অ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের হাঁড়ি-পাতিল, সবজি, চাল এবং মসলার নমুনায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়।চার শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা। এছাড়া মাটি, ছাই, পোড়ামাটি ও হলুদের গুঁড়ায় সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে।গ্রামে ৩০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর শরীরে সিসাগবেষণার তথ্য বলছে, গ্রাম এলাকায় পরীক্ষা করা ৩০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর শরীরে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। সিসামিশ্রিত হলুদের গুঁড়া গর্ভবতী নারীর শরীরে উচ্চমাত্রার সিসার উপস্থিতির কারণ।সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুজ্জামান, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২২)§ ২০২২ অক্টোবর ২৬ ১৬:৫৭:৫৪ স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এই দেশের জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেয়, তাহলে ক্ষমতায় আসবেন। ক্ষমতা চেঞ্জের একমাত্র মাধ্যম হলো জনগণের ভোটের মাধ্যমে। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসবেন তা জনগণ মেনে নেবে না।বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও মহিলা কলেজে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যারা অনেক ধরনের রঙিন স্বপ্ন দেখছেন তাদের আহ্বান করবো এক বছর অপেক্ষা করুন।আওয়ামী লীগ কোনোদিন কোনো ষড়যন্ত্র বা পেশিশক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ মনে করে জনগণই তার প্রধান শক্তি। দেশের জনগণ মনে করে বাংলাদেশের বিকল্প শুধু শেখ হাসিনা, আর কোনো বিকল্প নেই।সুষ্ঠু রাজনীতিতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম অবস্থান করে দখল করবেন এভাবে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করার প্রয়াস আপনারা নেবেন না।আন্দোলনের নামে দখল করার কথা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে যোগ করেন মন্ত্রী।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন হলো খাদ্যভাণ্ডার। তাদের যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কেউ যদি মনে করে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না কমবে, সে বোকার স্বর্গে বাস করে।ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং করতে হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলএমজি আমদানি করতে পারছি না। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবো বলে মনে করি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে।(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২২)§ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী ২০২২ অক্টোবর ২৬ ১৬:৫৪:২৯ স্টাফ রিপোর্টার : ব্যবসায়ীদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৬ অক্টোবর) গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমাদের ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক আমরা কিন্তু ওখানে দল দেখতে যাইনি। যে দলেরই হোক যাতে তারা ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা করতে পারেন, সেই পরিবেশটা কিন্তু আমি সৃষ্টি করে দিয়েছি।তিনি বলেন, এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমও’তে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই যে হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে বা অমুক জায়গায় দিতে হবে। এই যন্ত্রণায় তো আপনাদের ভুগতে হয় না এখন। এটা তো আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন। সেই যন্ত্রণা থেকে তো সবাই মুক্ত।শেখ হাসিনা বলেন, এখন প্রফিটের (লাভ) ব্যাপারে চিন্তা করেন। আগে তো একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেতো। এখন আর সেই হাওয়া হওয়ার ব্যবস্থা নেই। সেখান থেকে সবাইকে মুক্ত রেখেছি।তিনি বলেন, এতদিন, এই ১৪ বছর একটানা ধারাবাহিকভাবে আপনারা লাভজনক ব্যবসা করে গেছেন, আমরা কিন্তু করোনার সময়ও সেটা মোকাবিলা করলাম। প্রণোদনা দিলাম, বিশেষ প্রণোদনা, আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেননি। কেউ বলেওনি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটা টিম খুব ভালো কাজ করছিল যে, কোথায় কী করা যেতে পারে। আমার অর্থনীতির চাকাটা চলমান রাখতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো- তাদের ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ, তাদের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ, সবকিছু। আমরা বলেছি আমরা এখানে বন্ধ হতে দেবো না। আমার এখানে চালু করে রাখতে হবে। শ্রমিকদের বেতন, এই যে গার্মেন্টস, তার বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ শীর্ষ কয়েকজন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২২)§ ২০২২ অক্টোবর ২৬ ১৫:২৫:৩৫ স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বিদায় নেওয়ার পর আবহাওয়া প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘সিত্রাং’ সুস্পষ্ট লঘুচাপের পর ভারতের আসামে গিয়ে লঘুচাপ ও শেষে নিঃশেষ হয়ে গেছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবি ও সোমবার ভারি বৃষ্টির পর এখন প্রায় বৃষ্টিহীনতা সারাদেশে। তবে কিছু কিছু জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতও উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের রাজার হাটে সবেচেয়ে বেশি ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও কয়েকটি স্থানে ১ থেকে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।বুধবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ময়মনসিংহ ও সিলেটের দু-একটি স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কক্সবাজারে।(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২২)