UNICEF delivers critical medical supplies and support as dengue outbreak escalates among children in Bangladesh
Source:
Prothom Aloঢাকার বাইরে এত ডেঙ্গু রোগী কেন, জানে না কেউগতকালের বৈঠকে দেশের শীর্ষস্থানীয় রোগতত্ত্ববিদ, কীটতত্ত্ববিদ বা জনস্বাস্থ্যবিদেরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। কারণ, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে সারা দেশে মশা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি বা কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও শিক্ষা, গণপূর্ত, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বেশ কিছু সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু নিয়ে সারা বছর কাজ করতে হবে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় মূল জোরটা দিতে হবে প্রতিরোধে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে, ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি হওয়া দরকার, মশা নিধনে ব্যবহৃত ওষুধ কার্যকর কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে, মশার ওষুধ ছিটানোর প্রক্রিয়া বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে এবং মশকনিধন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ডেঙ্গুর মতো হঠাৎ কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত কোনো বরাদ্দ নেই। নিয়মিত বরাদ্দ থাকা দরকার। কারণ, জরুরি সময়ে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অর্থের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।