Keep digital space safe for future generation: Palak
Source:
bangladesherkotha.comমানসিক অসুস্থতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোই দায়ী: পলকআমাদের মানসিক অসুস্থতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোই দায়ী করলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের মানসিক অসুস্থতার পেছনে মূল দায়ী ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ইমোর মতো সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলো। এরা আমাদের অসুস্থ বানিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।’বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং মনের বন্ধু আয়োজিত ‘আইসিটি এবং মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার বুলিং, ডিপফেইক ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এর জন্য এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো দায়ী। এ প্রতিষ্ঠানগুলোই মূল অপরাধী। তাদেরকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করা হবে।’দেশের ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জুয়ার কারণেই আমাদের পরিবারগুলো ধ্বংস হচ্ছে। দেশের টাকা পাচার হচ্ছে। আমাদের সংবিধানে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। তাই আমরা এসব মেনে নিতে পারি না। এসব বন্ধ করতে হবে।’সব সংসদ সদস্যকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আসক্তি কমাতে অর্থসহায়তার নামে লোক দেখানো কার্যক্রম নয়। আসক্তি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। এ জন্য ডেটা বিজ্ঞানী ও সাইকোলজিস্টদের সোচ্চার হতে হবে। একই সঙ্গে এই সমস্যার উত্তরণের জন্য উচ্চপ্রযুক্তির মেন্টাল হেলথ জিপিটি তৈরি এবং এর মাধ্যমে দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে ব্যবহার ও ৩৫০ সংসদ সদস্যকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে সংসদ সদস্যরা যেখানেই যান, তারা সেখানে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে পারেন।’এই কাজের সঙ্গে ডেটা এনালিস্টদেরও যুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপার সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আইসিটি ডিভিশনের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) রণজিৎ কুমার, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম, ইউএনডিপির সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক এবং পিটিআইবির প্রোজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোয়েলমান, এনআইএমএইচের প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।